India: দীর্ঘদিন ধরে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করে আসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিও ভারত তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ভারত WTO অর্থাৎ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে জানিয়েছে যে তারা আমেরিকা থেকে আমদানির উপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করতে চলেছে। ভারতীয় ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
কোন নিয়মের অধীনে ভারত এই পদক্ষেপ নিয়েছে?
ভারত কেন প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করতে চলেছে?
গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (GTRI) এর প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেছেন যে এই বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ২০১৮ সালে ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম এবং তাদের পণ্যের উপর আরোপিত ‘সেফগার্ড ট্যারিফ’। এরপর ট্রাম্প প্রশাসন জাতীয় নিরাপত্তার কারণ উল্লেখ করে এটি বাস্তবায়ন করে। এটি বেশ কয়েকবার নবায়নও করা হয়েছিল। এটি সর্বশেষ নবায়ন করা হয়েছিল ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ তারিখে, কার্যকর তারিখ ১২ মার্চ ২০২৫। ভারতের যুক্তি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কখনই সুরক্ষা ব্যবস্থার অধীনে এই সিদ্ধান্তকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করেনি বরং জাতীয় নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে তা করেছে। এটি WTO-এর নিয়ম লঙ্ঘন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে আমেরিকা ১২.৩ ধারার অধীনে ভারতের সাথে প্রয়োজনীয় আলোচনাও করেনি।
ভারত এরপর কী করবে?
আমেরিকার সিদ্ধান্তের ফলে ভারতের রপ্তানি যতটা প্রভাবিত হবে, ভারতও আমেরিকা থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর একই পরিমাণ শুল্ক বৃদ্ধি করবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে এই মার্কিন শুল্ক ভারতের প্রায় ৭.৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের রপ্তানিকে প্রভাবিত করবে এবং মার্কিন প্রশাসন অতিরিক্ত ১.৯১ বিলিয়ন ডলার আমদানি শুল্ক পাবে। ভারত মার্কিন আমদানির উপর সমপরিমাণ প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করবে। শ্রীবাস্তব বলেন, যদি এই বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে কোনও আলোচনা না হয় অথবা আমেরিকা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করে, তাহলে ভারতের প্রতিশোধমূলক শুল্ক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৩০ দিন পর কার্যকর হবে। সেই তারিখটি হবে ৮ জুন, ২০২৫।